দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত নির্বাচনের আগে দেওয়া সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে কমলগঞ্জে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদমিনার সংলগ্ন মাঠে এই অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জিডিশন প্রধান সুচিয়াং এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব এর সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরি, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল চন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সত্যেন্দ্র কুমার পাল, কৃষ্ণ কুমার সিংহ, শংকর লাল সাহা, ধীরেন্দ্র কুমার ধর, প্রত্যুষ ধর, রতন বর্মা, নারায়ণ মল্লিক সাগর, সুবল দেব, সজল কৈরী, অপু রায় পার্থ, স্বপন দেবনাথ সাগর, বাবুল মাদ্রাজী, উপানন্দ দেবনাথ, নির্মল এস পলাশ, সীতারাম বীন, শৈলেন্দ্র দেবনাথ, নিতাই পাল, উপজেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সম্পাদক শাব্বির এলাহী, প্রেসক্লাব সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক সাজিদুর রহমান সাজু, নারীনেত্রী মুন্না রায়, মেরী রাল্ফ, ইউপি সদস্য সুনীল মালাকার, বিকাশ পাল প্রমুখ।
এদিকে গণঅনশন কর্মসূচির খবর পেয়ে বেলা পৌনে ৩টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে অনশনকারীদের শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এসময় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ এর নবনির্বাচিত সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী গণঅনশন কর্মসূচির ডাক দেয়।