সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশ্বাস দেন। তবে প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও কিছু সময় বেশি লাগতে পারে বলেন তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ এখন পর্যন্ত ২২.৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি আশাব্যঞ্জক সত্যি। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আশা করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে পুরোদমে টিমওয়ার্ক করলে কাজ শেষ হয়ে যাবে। বড়জোর আরও ৬ মাস বেশি লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আমাদেরকে একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। আশা করছি- এখন আমরা সবাই মিলে অনেক কিছু করতে পারবো, দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। অর্ন্তবর্তাকালীন সরকারের নির্দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা শুরু করছি। এর মধ্যে একটি ওসমানী বিমানবন্দরের কাজ। আমি আগে দায়িত্বে ছিলাম না। তাই আগে কী হয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এবার এই কাজের জবাবদিহিতা থাকবে।
বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরের আশেপাশের কিছু জমি এখনো আমাদের হাতে আসেনি। জমি অধিগ্রহণ কাজ চলছে। এছাড়া নকশায়ও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রকল্পের কাজটি শেষ হয়ে গেলে উন্নত দেশগুলোর মতো এটি একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দরে রূপ নিবে।
মেয়াদ বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় বাড়ব কী না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগে যে বাজেট দিয়েছে, এখন আরও সেই বাজটে থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। সময় বেড়েছে বাজেটও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে কী পরিমাণ ব্যয় বাড়বে তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না বলেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে তিনি প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন। এসময় বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।