সিলেটের ওসমানীনগরে দলের বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রচারপত্র বিতরণকালে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আসছে ১৯ নভেম্বরের সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে পূর্ব ঘোষিত প্রচারপত্র বিতরণকালে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শেরপুর থেকে দয়ামীর পর্যন্ত স্থানে স্থানে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখিন হন। এছাড়া প্রচারপত্র বিতরণকালে বিএনপির ২ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ১৯ নভেম্বরের সিলেট বিভাগী সমাবেশ সফল করার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণ করতে আসেন ইলিয়াস পত্নী লুনা।
এসময় শেরপুর থেকে দয়ামীর পর্যন্ত পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের বাধার মুখে পড়লে কর্মসূচি প্রায় শেষ হয়ে যায়। এরপর গোয়ালাবাজার এলাকায় লুনার গাড়িতে হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইলিয়াস পত্নী লুনা। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিছবাহ ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রুপ আব্দুল আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে প্রচারপত্র বিতরণকালে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ মিলন, উমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম আটক করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।
অপরদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে গোয়ালাবাজারে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া। বিএনপির হামলায় যুবলীগের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাবেদ আহমদ আম্বিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী পালন করতে গোয়ালাবাজার এলাকায় কেক কাটছিল যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে হামলা করলে আমাদের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়।
ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি চলাকালে গোয়ালাবাজার এলাকায় পুলিশ এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে আমার ব্যবহৃত গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পুলিশ এখন উল্টো বলছে আমরা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছি।’
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখাবেন। না হলে ছেড়ে দেবেন। এছাড়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।