সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেল এক বছরে অত্যাধুনিক চিকিৎসায় শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছেন ৩৭ জন। যার অধিকাংশই শিশু। হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের স্থাপনের মাধ্যমে তারা শ্রবণশক্তি ফিরে পান।
বুধবার ( ৩১ মে) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলন ও ইমপ্লাটি সমাবেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন, ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান ডা. মনিলাল আইচ।
সভায় জানানো হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকার বাইরে সিলেটে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। গত ২০২২ সালে ২৫ মে সিলেটে প্রথমবারের মতো জন্মবধির এক শিশুর কানে সফল অস্ত্রপচার করা হয়। এ চিকিৎসাপদ্ধতি জটিল ও ব্যয়বহুল। এক একটি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইসের দাম ৬ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা। সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বিনামূল্যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বর্তমানে ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন দক্ষ কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জন রয়েছেন। যা এ প্রতিষ্ঠানের বিরাট অর্জন।
এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, এ প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় অনেক শিশু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। যে বাবা-মা তার প্রিয় সন্তানের মুখে কোনদিন মা-বাবা ডাক শুনতে পায়নি তারা তাদের জীবনে মা-বাবা ডাক শুনতে পেয়েছে। এটা বিরাট আনন্দের।
সভায় কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনের এক বছর পূর্তিতে কেক কেটে উদযাপন করে উপস্থিত সুধীজন ও অতিথিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুজিবুল হক, ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ডা. নুরুল হুদা নাঈম ও ডা. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।