এ আর রহমানের নামে কানাডায় আরেকটি সড়কের নামকরণ

ভারতের অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানের নামে কানাডার গ্রেটার টরন্টো এলাকার মারখামে আরেকটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

এ আর রহমানের নামে আগে ২০১৩ সালে অন্টারিও প্রদেশে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়। সেটির নাম ‘আল্লাহ রাখা রহমান স্ট্রিট’।

এই ‘আল্লাহ রাখা রহমান’ই এ আর রহমানের পুরো নাম। তার সঙ্গীতের সঙ্গে সবার পরিচিতি থাকলেও কানাডায় কিংবদন্তির নামে সড়কের নামকরণের ইতিহাস অনেকেরই অজানা।

ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে মারখামের মেয়রের উদ্যোগে ‘A R Rahman’ নামে দ্বিতীয় সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে।

‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমায় সুর করে বিশ্বখ্যাতি পাওয়া এ আর রহমান ২০১৩ সালে প্রথম সড়কটির কথা সবাইকে জানান। সেসময় নিজের টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।

কানাডা সরকারের প্রদেশভিত্তিক ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা গেছে, ভারতীয় সঙ্গীতের শতবর্ষ উদযাপনের সময় সড়কটি এ আর রহমানের নামে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সম্প্রতি আব্বাস হালাই নামের এক কানাডা প্রবাসী প্রশ্নোত্তর বিষয়ক ওয়েবসাইট কোয়ারাতে লিখেছেন, ‘কানাডা সব সময় বিশ্ব ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে চায়। বিশেষ করে সঙ্গীত, সিনেমা এবং থিয়েটারকে। দেশটিতে আরও অনেক বিখ্যাত মানুষের নামে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা আছে।’

১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা এ আর রহমানের প্রথম নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার। বাবা তামিল সংগীত পরিচালক আর কে শেখর এবং মা গৃহবধূ কস্তুরি দেবী। বাবা সংগীত পরিচালক হলেও বাবার কাছ থেকে সংগীত শিক্ষা নেওয়ার খুব বেশি সুযোগ পাননি। কারণ ১৯৭৬ সালে মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান।

পিতার চিকিৎসার জন্য টাকার অভাব, তার যন্ত্রণা, পরিচিত মানুষের তীব্র উদাসীনতা এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের উপেক্ষা দিলীপকে খুব কষ্ট দেয়। আরও কষ্ট দেয়, বিশেষত তার পিতার মৃত্যুর দিনটি। ওই দিনেই তার বাবার সুরারোপিত প্রথম চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও তা তিনি দেখে যেতে পারেননি।

এমন একটি অবস্থায় দিলীপ কুমার বেড়ে ওঠেন। পরে ধর্ম পরিবর্তন করে নামও পাল্টে ফেলেন। কিন্তু গান ছাড়েননি।

অস্কার জেতার পর ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর হৃদয়ে সুরের মাধ্যমে নিজের জন্য শক্ত আসন পেতে ফেলেছেন এ আর রহমান। তিনি হলিউডকে বাধ্য করেছেন বলিউড সম্পর্কে নাক সিঁটকানো মনোভাব ছাড়তে। তাকে দক্ষিণ ভারতের মানুষ ডাকে ‘দ্য মোৎসার্ট অব মাদ্রাজ’ নামে। রজনীকান্তের কাছাকাছি জনপ্রিয়তা।

কানাডার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও তাকে শ্রদ্ধা করে থাকেন।