এমইউ’র প্রাক্তন ভিসি হাবিবুর রহমান স্মরণসভা ও বৃত্তিপ্রদান

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান এডুকেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এনামুল হাবীব।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাকের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার তারেক ইসলামের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি ২০২৩ এর আহবায়ক ড. রমা ইসলাম, মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক (অর্থ), উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, গ্রন্থাগারিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভার শুরুতেই অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান শুধু একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না; তিনি ছিলেন একজন পথপ্রদর্শক, যার অবদান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। সমাজের উন্নতির জন্য তাঁর নিবেদন আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। একজন কৃতী ছাত্র, মনস্বী অধ্যাপক, দূরদর্শী ভাইস চ্যান্সেলর, সমাজ বিজ্ঞানী, সংস্কারক, লেখক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে তাঁর অসাধারণ যাত্রা বিশ্বজুড়ে মানুষের শ্রদ্ধা ও প্রশংসার অনুপ্রেরণা অব্যাহত রেখেছে।’

অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব বলেন, ‘শিক্ষার প্রতি আমার বাবার অনুরাগ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে আপোসহীনতা আমাদের পরিবারকে যেভাবে উজ্জীবিত করেছে, একইভাবে সমাজকেও। সুবিধাবঞ্চিতদের উন্নতির প্রতিশ্রæতি অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান শিক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পেছনের দিকনির্দেশক নীতি। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি আমার বাবার অবদানকে যে স্বীকৃতি দেয়, এর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলরসহ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, ‘প্রফেসর এম. হাবিবুর রহমান একজন সৎ, সাহসী ও পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সততা ও সাহসের কথা আমার একটি বইয়ের উৎসর্গপত্রে উল্লেখ করাকে আমার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। বৃহত্তরভাবে সমাজ, দেশ এবং মানবতার উন্নতির জন্য তাঁর নিঃস্বার্থ অবদান একাডেমিয়া এবং সমাজকল্যাণের ইতিহাসে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছেন।’

অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ইউনিভার্সিটির পেশ ইমাম মো. ইসমাইল হোসেন।