বিশ্বব্যাপী পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ১৬.৫২ শতাংশ কমেছে।
বুধবার (৩ মে) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রভিশনাল তথ্য অনুসারে, দেশের রপ্তানি খাত ২০২২-২৩ সালের এপ্রিলে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এটি ছিল ৪.৭৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের চাহিদা কম থাকায় প্রতিটি কারখানাই কম ধারণক্ষমতা নিয়ে চলছে। তাছাড়া গত মাসে রমজান ও ঈদুল ফিতরের কারণে পোশাক শিল্পে প্রায় ১২ দিনের ছুটি ছিল, যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে রপ্তানি আয়ে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, বিশ্ববাজারে গত কয়েক মাস ধরে বিক্রি কমেছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যবসায়।
তবে অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় স্থানীয়ভাবে উন্নত মানের সুতা উৎপাদন করতে পারায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; যদিও অর্ডার ৩০ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজার আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে বলে আশাব্যক্ত করেন পারভেজ।
যদিও চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে; এক্ষেত্রে আশার বিষয় হলো গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রপ্তানি ৮.০৭% বেড়েছে।
এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে মূলত তৈরি পোশাক খাতের মাধ্যমে। ইপিবির তথ্য অনুসারে, এই সময়ে তৈরি পোশাক খাত ১২.১৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮.২৫ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
তবে মার্চে রপ্তানি ২.৪১% কমে ৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে সারা বিশ্বের গ্রাহকদের চাহিদা কমেছে। মানুষ মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদে অন্যান্য পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
কটন ইনকর্পোরেটেডের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিনজন গ্রাহকের মধ্যে দুইজন হয় নিজেদের জন্য কম পোশাক কিনছেন, বা কেনাকাটা একেবারেই বন্ধ করে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের পোশাক আমদানিকারী সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা দেখা গেছে।