আইএমএফের পদ্ধতিতে দেশের রিজার্ভ সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর নির্দেশিত পদ্ধতিতে প্রথমবার দেশের রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন হিসাবে বুধবার (১২ জুলাই) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৫৬ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে এ তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে, যখন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বো লি ঢাকায় অবস্থান করছেন। আজ রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা রয়েছে।

আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, বিপিএম-৬ মডেল অনুযায়ী জুনের মধ্যে রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করতে হবে। রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে রিজার্ভের অর্থে গঠন করা লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ বাদ দিতে হবে। প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব খাতের মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে।

গত জুনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের প্রকৃত হিসাবায়ন শুরু করতে বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও রিপোর্টিংয়ের মান বাড়ানো। পাশাপাশি প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষ্যও বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের সময় যেসব শর্ত এই প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তার অন্যতম ছিল এটি।