ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরম্যান্স সঙ্গী করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কঠিন কন্ডিশনে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাঠে নামবে সফরকারীরা। চলতি বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর ৫ টেস্টে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। নতুন করে অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়া সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলে সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে মুখিয়ে।
অ্যান্টিগাতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘টেস্টে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো খেলিনি আমরা। এখন সুযোগ এসেছে সবাইকে ভুল প্রমাণ করার। আমরা আসলেই ভালো করতে পারি। সেখান থেকে সামনে যেতে পারি। এ ম্যাচে ভালো করতে পারলে সিরিজের জন্য ভালো শুরু হবে।’
সাকিবের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অবশ্য খুব একটা সুবিধার নয়। বোলিং মোটামুটি হলেও ব্যাটিং প্রত্যাশামতো হচ্ছে না। তবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার খুব একটা চিন্তিত নন। তার পুরো মনোযোগ দলীয় পারফরম্যান্সে, ‘ফিটনেস অনুযায়ী আমি ভালো অবস্থানে আছি। ফর্মের দিক দিয়ে চিন্তা করছি না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো একটা ম্যাচ গেছে আমার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব একটা ভাবছি না। দলীয় পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবছি।’
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সাকিব বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘আমাদের দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে। আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত।’
দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে আশাবাদী সাকিব। বিশেষ করে, ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের অফফর্ম নিয়ে চিন্তিত নন টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক। যদিও সর্বশেষ ৬ ইনিংসের মধ্যে তিনবার শূন্যের ঘরে আউট হয়েছেন তিনি। সাকিব মনে করেন, জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে লড়াই নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে, ‘জয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। এটি আরেকটি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। সে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সত্যিই ভালো করতে পারে।’
ইনজুরির কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ফিরেছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে। মিরাজ ফেরায় স্বস্তিতে টেস্টের নতুন অধিনায়ক, ‘মিরাজ দলে ফিরেছে, এটা আমাদের জন্য বড় বুস্টআপ।’
পেসার রেজাউর রহমান রাজাসহ নতুন ক্রিকেটারদের পাশাপাশি উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন সাকিব, ‘রাজা নতুন পেসার। তার দিকে তাকাতে পারি। আরও কয়েকজন ছেলে আছে। সোহান আরেকজন, যে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছে। আশা করি, সে এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেনে এনে বাংলাদেশকে আনন্দ এনে দিতে পারে।’
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি ক্যারিবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো। সেখানকার সৌন্দর্যের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার, ‘ক্যারিবিয়ান আমার হৃদয়ের খুব কাছে। প্রথম এসেছিলাম ২০০৭ বিশ্বকাপে। সে স্মৃতি সবসময়ই চেরিশ করি আমি। তখন থেকেই আমার হৃদয়ের খুব কাছে এটি। এখানকার মানুষ, এই জায়গা, ভালোবাসি অনেক। এখানে আসতে ভালোবাসি। বাংলাদেশ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসে, তখন কখনোই মিস করতে চাই না। আমি এর অংশ হতে চাই।’