একযুগ পর তাহিরপুরের সাত ইউনিয়ন যুবদলে নতুন নেতৃত্ব

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এনাম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম স্বাক্ষরিত প্যাডে এই সাতটি ইউনিয়নের পুর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

ফলে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে যুবদল পেল নতুন নেতৃত্ব। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

কমিটিতে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন যুবদলে আব্দুল বারিককে সভাপতি ও মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন যুবদলে জিয়াউর রহমান আখঞ্জিকে সভাপতি ও ইদ্রিছ আলীকে সাধারণ সম্পাদক, শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলে শাহ আলম ও মো. সাইকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, বাদাঘাট ইউনিয়ন যুবদলে সুমন আহমদকে সভাপতি ও কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন যুবদলে মো. আক্তার হোসেনকে সভাপতি ও মো. আবু তাহের মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে হযরত আলীকে সভাপতি ও মালু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও বালিজুরী ইউনিয়নে জিল্লুর রহমানকে সভাপতি ও মো. হারিছ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

সদ্য ঘোষিত বাদাঘাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সুমন আহমদ বলেন, অনেক দিন পর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নে যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। এসব কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগীদেরই মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাছাড়া তাহিরপুরে আগের যেকোন সময়ের তুলনায় যুবদল এখন সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস কে শফিকুল ইসলাম বলেন, কমিটিগুলোতে টাকার প্রভাব খাটিয়ে অদক্ষ ও অসাংগঠনিক লোকেরা স্থান পেয়েছে। সেখানে ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এনাম জানান, ‘কমিটিতে অনেক যোগ্য নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এটা সত্য। কিন্তু আমরা সবাইকে দায়িত্ব দিতে পারি নাই বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

তিনি দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার মন মানসিকতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।