এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮১.৪০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৭১ জন। শতভাগ পাশ করেছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই শতভাগ ফেল।
এ বছর সিলেটের চার জেলা নিয়ে গঠিত শিক্ষাবোর্ডে বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজার ৪৯১ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন।
এই বোর্ডে পাশের হার ৮১.৪০%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৭১ জন শিক্ষার্থী। ছেলেদের পাশের হার ৭৯.৮০ শতাংশ আর মেয়েদের পাশের হার ৮২.৬১ শতাংশ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সদস্য সচিব কবির আহমেদ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ চন্দ্র পাল এমন তথ্য জানান।
অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় সর্বনিম্নে রয়েছে সিলেটের ফলাফল। এর কারণ হিসেবে গত বছরের বন্যাকে দায়ী করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সদস্য সচিব কবির আহমদ জানান, ভয়াবহ বন্যার পানি অনেকেরই বই-খাতা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেকে ঠিকমতো প্রস্তুতিও নিতে পারেনি। যে কারণে ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে।
ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে ভয়াবহ বন্যার বিপর্যয় কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে তাতে অসন্তোষের কিছু নেই।
ফলাফল নিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে খারাপ করেছে। এ বিষয়টিতে একটু খেয়াল করলেই আগামী ফলাফল বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন শিক্ষার্থী। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৬ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন।
এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন ৯১ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী, এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী।