উত্তরপ্রদেশে ছদ্মবেশে বসবাসকারী দুই বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাহারানপুর এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) ওই দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে।

দেশটির দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তারকৃত দুই বাংলাদেশি হলেন হাবিবুল্লাহ মিসবাহ (২৬) এবং আহমাদুল্লাহ (৩৫)। তারা ভুয়া নথি ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকের ছদ্মবেশে সাহারানপুরে বসবাস করছিলেন।

এটিএসের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাবিবুল্লাহ নিজেকে নাজির এবং আহমাদুল্লাহ আবদুল আউয়াল ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি সিম কার্ড, দুটি মোবাইল চিপ, আধার কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের রসিদের ফটোকপি, ১০ রুপির স্ট্যাম্পে করা হলফনামার ফটোকপি, রেশন কার্ডের ফটোকপি, বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড, ফিনো ব্যাংক পাসবুকের ফটোকপি উদ্ধার করেছে। এছাড়াও তাদের কাছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের ফটোকপি, জন্ম সনদ (আসাম), প্যান কার্ডের ফটোকপি, মাদরাসা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া খানকা-ই-মাদানির চিঠির ফটোকপি পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলেছে, হাবিবুল্লাহ ও আহমাদুল্লাহর কাছ থেকে নগদ ২ হাজার ৯৩০ রুপি, একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, একটি ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড ও একটি প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ মহাপরিদর্শক প্রশান্ত কুমার বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশি নাগরিক এবং সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, হাবিবুল্লাহ ও আহমাদুল্লাহর কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ডসহ ভারতে বসবাসের সার্টিফিকেটের রসিদ এবং পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া গেছে; যা তাদের ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে। এসব জাল পরিচয়পত্র তৈরিতে তাদের কারা সহায়তা করেছে, সেবিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

দেশটির কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি সন্ত্রাসী শাহাদাত হুসাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আহমাদুল্লাহ বলেন, তিনি শাহাদাত হুসাইনকে খুব ভালো করেই চেনেন। শাহাদাত বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে এটিএসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

এটিএস বলেছে, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো অর্থ শাহাদাত হুসাইনের স্ত্রী সামা পারভীনের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন আহমাদুল্লাহ।