‘ইব্রাহিমের নির্বাচনে যাবার ঘোষণা বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি’

১২ দলীয় জোটের যুগপৎ আন্দোলনের পুরনো ছবি

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের নির্বাচনে যাবার ঘোষণাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি’ বলে আখ্যা দিয়েছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

জোটের নেতারা বলেন, ‘ইব্রাহিমের ভূমিকাকে রাসপুটিনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। দেশের এই দুঃসময়ে জনগণের সঙ্গে তার বেইমানি করা একজন মীরজাফর ও বিশ্বাস ঘাতক বলে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।’

নেতারা বলেন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করে আন্দোলনের নামে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি দেশ, দেশের মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কিছু সময় পর গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে সরকারবিরোধী ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান জানান, বুধবার জোটের জরুরি সভায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে ১২ দলীয় জোটের নতুন মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা গ্রেফতার ও কারাগারে বন্দি থাকায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানকে ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে।

জোটের নতুন মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ১২ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট আছে এবং আমরা গণতন্ত্রের লড়াইয়ে একত্রিত আছি। বরং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং মুসলিম লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলের নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আমাদের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এ নিয়ে সরকারবিরোধী ১২ দলীয় জোটটি দ্বিতীয়বারের মতো ভাঙনের মুখে পড়ল। এর আগে লেবার পার্টি জোট ত্যাগ করেছে।