নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলে পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালনে স্কুলের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনাসভা, বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নগরের ঘাসিটুলাস্থ ইউসেপ বাংলাদেশ পরিচালিত ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুল সম্মেলনকক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুঁতোয় গাঁথা। টুঙ্গীপাড়ার ছোট্ট খোকা তাঁর নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা, মানবিকতা দিয়ে তিনি বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারতেন বলেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তিনি শুধু বাঙালির চির আরাধ্য স্বাধীনতা উপহার দেননি, আমাদের স্বাধীকারও এনে দিয়েছিলেন।
তিনি একজন সাহসী দৃঢ়চেতা নেতা ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, যে মানুষটি আমাদের মহান স্বাধীনতা এনে দিলেন, তাকে দেশ স্বাধীনের মাত্র ৩ বছরের মাথায় স্বপরিবারের হত্যা করা হলো। যা আমাদের বাঙালি জাতির জন্য লজ্জার। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা সরাসরি জড়িত, তাদের বেশির ভাগেরই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু যারা পালিয়ে বিদেশে রয়েছে তাদের দ্রুত দেশে কিন্তু এনে তাদের রায় কার্যকর করা হোক। বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রতিটি মানুষেরই শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, এখানে আপোসের কোনো সুযোগ নেই।’
ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ এস এম আবু জাফর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট মহানগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন শাহাবুল।
ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের শিক্ষক শাহিদা জামান, শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস, শিক্ষক সুষ্মিতা ধর শর্মা, শিক্ষক সুনীল দাস প্রমুখ।