বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি জানান বাবুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অলিউল ইসলাম। তার ধারণা, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মৃত দুই নারী হলেন- দেলোয়ার হোসেনের মা লালমুননেছা (১০২) ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সোলাইমানের স্ত্রী রিপা আক্তার (২০)। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা নারীর নাম মিনারা বেগম (৫৫)। তিনি দেলোয়ারের স্ত্রী। তাকে উপজেলার বাহেরচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) অলিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বুধবার রাত ২টার কিছু আগে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক থেকে দেড়শ’ গজ দূরে ঘটনাস্থল। আমরা গিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পাইনি। তিন নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেওয়ার পর লালমুননেছা ও রিপাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর মিনারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য (দফাদার) মো. হানিফ বলেন, গত রাতে ওই বাড়িতে দেলোয়ারের স্ত্রী, মা ও ছেলে বউ ছাড়া কেউ ছিলেন না। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন চুরির জন্য খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে এই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করা হয়েছিল। আর সেই বিষক্রিয়া বেশি হওয়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সার্বিক আলামত দেখে চুরি নয়, হত্যাকাণ্ডের জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে সন্দেহ অনেকের।
তিনি আরও বলেন, ঘরের এক পাশে একটি ছোট আকারের সিঁধ কাটা হয়েছে, তবে সেটি দিয়ে কোনো মানুষের চলাচল সম্ভব নয়। আর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে যেটুকু জেনেছি তাতে কিছু স্বর্ণালঙ্কারসহ অল্প কিছু মালামাল খোয়া গেছে। চুরি হলে আরও অনেক মালামালই খোয়া যেত।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পুরোপুরি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হয়েছে। বিষয়টি ভিন্ন খাতে রূপ দিতে চুরির ঘটনা সাজানো হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।