ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অনাস্থা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের চার ভাতিজা কর্তৃক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনার একদিন পর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করা হয়।

অনাস্থা প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকারের বিধির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের কোনো অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাকে সরিয়ে নিজের লোক বসিয়েছেন। যেকোনো স্থান থেকে নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করার এখতিয়ার থাকলেও চেয়ারম্যানের মনোনীত ব্যক্তির কাছে নিবন্ধন করা না হলে তা তিনি অগ্রাহ্য করেন। জন্ম ও মৃত্যু বিধিমালা-২০১৮ বিধি মোতাবেক ফি নেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশনামতো ৫শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। চেয়ারম্যান নিজের নিযুক্ত লোকদের মাধ্যমে ইউনিয়নের প্রত্যেক খানা থেকে নাম্বার প্লেটের নামে ১৫০ টাকা করে অন্তত দশ লাখ টাকা আদায় করেন। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে অন্তত ৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। এরকম বিভিন্ন খাত থেকে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। হাট-বাজার ইজারার প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক ইউএনও অফিস থেকে উত্তোলন করে ওই টাকা তিনি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন। সর্বশেষ জিআর এর ৫ মেট্রিক টন চাল তিনি বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। নিয়মিত কোনো সভা করেন না। চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ইউনিয়নবাসীকে এখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

অনাস্থা প্রস্তাব করেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, বকুল আক্তার, আবদুল কাদির, আল আমিন, আবু হানিফ, মোশাররফ হোসেন, আবদুল কাদির-২, নুরুল ইসলাম, ছফিউল্লাহ, জয়নব বিবি প্রমুখ।

ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শুনেছি। আহত অধ্যক্ষকে দেখতে এখন সিলেটে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ১০ ইউপি সদস্যের দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।