রিমোট চালিত বিমান আবিষ্কার সাড়া ফেলেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দশম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর আনিসুল হক (১৬)। সে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের কৃষক বাবা আহাদ মিয়ার সন্তান ও হাজী এম জাহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিমানটি বানানোর আগে সে একটি যুদ্ধ বিমান তৈরির চেষ্টা করে। কিন্তু অর্থের অভাবে এটি আলোর মুখ দেখেনি।
মহামারি করোনাকালীন সময়ে বড় ভাই শফিকুল ইসলামের কর্মস্থল ঢাকায় যায় আনিসুল। ঢাকায় গিয়ে এয়ারপোর্ট দেখার ইচ্ছে জাগে। সেখানে বিমান দেখে তা বানানোর নেশা পেয়ে বসে তাকে। তখন ক্লাস সিক্সে পড়তো আনিসুল। পরে বাড়িতে এসে গুগল-ইউটিউবে বিমান বানানোর টিউটোরিয়াল দেখে এই বিমান আবিষ্কার করে সে।
বিমানটি তৈরি করতে যন্ত্রপাতি বাবদ তার ব্যয় হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যা পরিবারের কাছ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে সঞ্চয় করেছিল। বিমানটি বানাতে আনিসুল ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে যন্ত্রপাতি কিনেছে। আবার কিছু যন্ত্রপাতি অনলাইনে অর্ডার করে এনেছে।
আনিসুলের তৈরি বিমানটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট, এটিকে রিমোট কন্ট্রোলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যা এক কিলোমিটার এলাকা উড্ডয়ন করতে সক্ষম। এই বিমানটিতে আরও ১০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত করা হলে এটি ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে বলে জানায় আনিসুল।
আনিসুল জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিমানটি বানানোর কাজে হাত দেয় সে। পরে তিনবারের চেষ্টায় বিমানটি বানাতে সক্ষম হয়। এবং চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এটি আকাশে উড্ডয়ন করে।
বিমানটি তৈরি করতে আনিসুলকে সহযোগীতা করে তার তার বারো বছর বয়সী ছোট ভাই আমিনুল। আনিসুল জানায়, পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় সে ভালো করে আকাশে বিমান পরিচালনা করতে পারেনি।
আনিসুলের এই বিমান দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় করে। অনেকেই মনে করেন সঠিক দিকনির্দেশনা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে অনেকদুর এগোতে পারবে এই কিশোর।