শান্তিগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধে দায়সারা কাজ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের কাঁচিভাঙ্গা হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে দায়সারা কাজ করে মুক্তি নিতে চাইছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির লোকেরা। ৫৪ নং এ পিআইসির সভাপতি শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক ননী গোপাল দাশ ও সম্পাদক জামিল আহমেদ।

ফসলরক্ষা বাঁধটির অবস্থান সিচনী সংলগ্ন ইট ভাটা থেকে নূরপুর গ্রামের পূর্বাংশ পর্যন্ত। কাঁচিভাঙ্গা হাওরের এলঙ্গী বিলের পাশ ঘেঁষে উত্তর-দক্ষিণে ৬শ’ ৬৫ মিটার দীর্ঘ এ বাঁধে বরাদ্দের পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, কাজের তুলনায় এ বেড়িবাঁধে বরাদ্দের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া কাজটিও ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক কৃষক। তবে, বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি, সময়ের আগে সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পিআইসির সভাপতি ননী গোপাল দাশ।

শুক্রবার বিকালে দরগাপাশা ইউনিয়নের ৫৪ নং এ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় বাঁধে তুলনামূলক কম মাটি পড়েছে। ইটভাটা সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গায় এখনো মাটি কাটা না হলেও নূরপুর গ্রামের দক্ষিণাংশে কাজ চলমান। বাঁধে যে মাটি ফেলা হয়েছে তার কোনো কোনো জায়গায় বালুমাটির সংমিশ্রণ রয়েছে। এছাড়াও বাঁধের একাধিক স্থানে মাটির পরিমাণ একেবারে কম পড়েছে। স্লোভ খাঁড়া হয়ে রয়েছে। একাধিক স্থানে মূল বাঁধ থেকে মাত্র ছয় ইঞ্চি মাটি ফেলা হয়েছে। তাছাড়া বাঁধের পূর্বের স্লোভে একেবারে মাটি পড়েনি বলা চলে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিচনী গ্রামের এক কৃষক বলেছেন, এলঙ্গীর হাওরে আমি ২০ কিয়ার (৬ একর) জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। আমি জানি কারা পিআইসি কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা সঠিকভাবে কাজ করছেন না। বাঁধের পূর্বের স্লোভ বন্যার সময় ঢেউয়ে ভাঙে। সেই ভাঙা অংশ দেখে দেখে তারা সামান্য মাটি দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। আরেকটু উঁচু করে মাটি কাটা উচিৎ ছিলো। স্লোভের কাজ যদি ভালোভাবে না হয় তাহলে বন্যা এলেই আবার ভেঙে যাবে। আরেকটু প্রস্ত হওয়া উচিত।

পিআইসি কমিটির সভাপতি ননী গোপাল দাশ বলেন, আমাদের পিআইসির কাজ এখনো শেষ হয়নি। বাঁধে কোনো বালুমাটি নেই। সময়ের আগে বাকী সব কাজই শেষ হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। আগামীকাল (শনিবার) আমাদের লোক পাঠাবো। তারপর ব্যবস্থা নেবো।’