ইউজিসি’র এপিএ মূল্যায়নে তলানীতে শাবি

অনেক কিছুতে প্রথম হিসেবে পরিচিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ তৈরি, মুঠোফোনে ভর্তিপ্রক্রিয়া চালু ও ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে এতোকিছুতে প্রথম হলেও ইউজিসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে কখনো প্রথম হতে পারেনি এ বিশ্ববিদ্যালয়। উল্টো গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৬ ধাপ পিছিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়টির এমন বেহাল দশায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, মোট ছয়টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোর ক্ষেত্রে ৭০ নম্বর, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে ১০, ই-গভর্ন্যান্স/উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩ এবং তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ নম্বর ধরা হয়েছে।

ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে, একশ নম্বরের মূল্যায়নে প্রথম অবস্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৯৯ দশমিক ৪৭ নম্বর। অন্যদিকে শাবিপ্রবি পেয়েছে মাত্র ৪৭ দশমিক ৬ নম্বর। অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় ৫২ দশমিক ৪১ নম্বর কম পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৯৪.৪৮ নম্বর) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (৯৩.৭৫ নম্বর)।

দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০ অবস্থানে থাকলেও এবার ৩৬ তম অবস্থানে রয়েছে। ইউজিসির মূল্যায়নে পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে ইউজিসির কেবিনেট ডিভিশনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য ইনপুট দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় তথ্য ইনপুট দেওয়া সম্ভব হয় নি।’

উল্লেখ্য, এপিএ এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়ন, সকল স্তরের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা নির্ধারণ ও সরকার ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র এপিএ স্বাক্ষর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং সে মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।