ইংলিশদের বিরুদ্ধে বড় পরাজয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ

ইংলিশদের সাথে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারলো টাইগাররা। লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম ফিফটি করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলোনা।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেছেন ওপেনার ডেভিড মালান।

তবে জবাবে ৩৬৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৪৯ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে যায় টাইগাররা।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন লিটন। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেন এই ওপেনার। তবে পুরোপুরি ব্যর্থ আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তরুণ এই ওপেনার কিছুতেই যেন ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না। দ্বিতীয় ওভারে রেইস টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের বলেই ফিরেছেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

শান্ত গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরায় ১৪ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে তিনিও দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিতে পারেন নি। ইংলিশ পেসার টপলির করা ব্যাক অফ লেংথের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন সাকিব। ১ রান করে সাকিব ফেরায় বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে তুলতে পারেন নি ফর্মে থাকা মিরাজও। নবম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭ বলে ৮ রান।

৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন লিটন-মুশফিক। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। এসময় ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন। তবে বেশিদুর দলকে টেনে নিতে পারেন নি তিনিও। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে উকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের স্কোর তখন ১২১ রান ৫ উইেকেট। এরপর তাওহীদ হৃদয় আর মুশিফক জুটি বেঁধে পরাজয়ের ব্যবধানই কমান শুধু। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় ৫১ করা মুশফিক ফিরে যান। সপ্তম ব্যঅটার হিসেবে হৃদয়ও ফেরেন ৩৯ রান করে। দলীয় স্কোর তখন ১৮৯। এরপর মেহেদি, তাসকিন আর শরীফুলরা দলকে ২২৭ পর্যন্ত নিয়ে যান।

ইংলিশদের পক্ষে পেসার টপলি ৪৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। ৪৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ওকস।