নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ইউসুফের বাড়িতে শোকের মাতম

যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত আবু সালেহ মো.ইউসুফ জনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনির (৪৫) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেনার স্ট্রিটে বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের সাবেক মেম্বার নুরুল হকের পুত্র ইউসুফ জনি ও কুমিল্লা জেলার বাবুল উদ্দিনকে।

বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত আবু সালেহ ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা জানার পর তাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস পূর্বে স্ত্রী এবং  দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ইউসুফ জনি। সেখানে একটি পেইন্টিং কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা সিলেট শহরের মেজরটিলায় বসবাস করে আসছেন। ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ প্রথমে তার পরিবারের কাছে জানান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কানাইঘাটের দুলাল আহমদ।

তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছেলে ইউসুফ জনির মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পিতা-মাতা সহ পরিবারের লোকজন বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের সিলেট শহরের বাসায় চলছে শোকের মাতম। নিহত দুজনের লাশ নিইউয়র্ক পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার ইউসুফ জনি ও বাবুল উদ্দিন বাফেলোর জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে একটি বাসার রং এর কাজে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দূবৃত্তরা বাবুল উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবী করে।

টাকা না দেয়ায় তারা বাবুল উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করলে তাকে রক্ষা করতে ইউসুফ জনি এগিয়ে যান। ওই সময় আততায়ী বন্দুকধারীরা তাদের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করে। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে বাফেলোতে স্থান পরিবর্তন করেছিলেন বলে জানা গেছে।

বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেন, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াট টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি।

মর্মান্তিক এই হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাফেলো বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

প্রবাসীরা জানিয়েছেন, শোকসন্তপ্ত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তারা হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানান।