আয়ারল্যান্ড আর বৃষ্টির আধিপত্যে ইংলিশদের অবিশ্বাস্য হার

ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ দুটি জয় আছে আইরিশদের। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য একবারের মুখোমুখিতে জয় ছিল ইংলিশদের। তাই সুপার টুয়েলভে আজ ইংল্যান্ডের জয়টাই অনুমিত ধরা হচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টি আইনে তাদের ৫ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেকটি অঘটনের জন্ম দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

অবশ্য বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শুরুতে ১৫৮ রান ছুড়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল আইরিশরা। ২৯ রানে ‍তুলে নেয় টপের ৩ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানদের। ৬৭ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে ডেভিড মালান চেষ্টা করেছেন যদিও। কিন্তু দলীয় ৮৬ রানে ফিরে গেলে বিপদ বাড়ে আরও। কঠিন অবস্থায় মঈন আলী হাত খুলে ম্যাচে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন যখন। ঠিক সেই মুহূর্তে ১৪.৩ ওভারে বৃষ্টি নামলে জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। পরে দেখা গেছে, বৃষ্টি আইনের নতুন লক্ষ্য (১১০) থেকে ৫ রান কম ছিল তাদের। আর এটাই হয়ে দাঁড়ায় হারের ব্যবধান। তখন ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১০৫!

অধিনায়ক জশ বাটলার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন। দ্বিতীয় বলে ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। অ্যালেক্স হেলস (৭), বেন স্টোকস (৬), হ্যারি ব্রুকও (১৮) প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ১২ বলে ২৪ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন মঈন। শুরুর ধস নামাতে বড় অবদান ছিল আইরিশ পেসার জশ লিটলের। ১৬ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে নিয়েছেন ব্যারি ম্যাকার্থি, ফিওন হ্যান্ড ও জর্জ ডকরেল।

প্রথমে টস হেরে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ডের শুরু আর শেষটায় ছিল বিস্তর ফারাক। মাত্র তৃতীয় ওভারে পল স্টার্লিংয়ের উইকেট পতনের পর তাণ্ডব শুরু করেছিলেন অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি। সঙ্গে লরকান টাকারও কম ছিলেন না। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১২ ওভারে ১ উইকেটেই স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১০২ রান! বড় স্কোরের আভাসই মিলতে থাকে তখন। কিন্তু বিস্ফোরক জুটি ভাঙতেই শেষটা হয়ে পড়ে ছন্নছাড়া!

১২তম ওভারে টাকারকে (৩৪) ফিরিয়ে ৮২ রানের জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। তিন বলের ব্যবধানে হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে ইনিংসে ছন্দপতন ঘটান মার্ক উড। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালানো ব্যালবার্নি ৬২ রান করতেই তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন লিভিংস্টোন। আইরিশ অধিনায়কের ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়। ম্যাচসেরাও তিনি।

তার পরেই মূলত দারুণ শুরু থেকে কক্ষপথচ্যুত হয়েছে আয়ারল্যান্ড। টানা দ্বিতীয় বলে লিভিংস্টোন ডকরেলের উইকেট তুলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন। কার্টিস ক্যাম্ফার ১১ বলে ১৮ রান করে রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন। তাকেও বিদায় দিয়েছেন উড। বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়া করতে থাকলে ১৯.২ ওভারে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে গেছে আইরিশ দল।

শেষটায় দারুণ বোলিং উপহার দেওয়া ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি ১৭ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উডও। স্যাম কারান ৩১ রানে নিয়েছেন দুটি।