সিলেটের অন্যতম নারী শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আম্বরখানা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দঘন পরিবেশে ৩ দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. জমির উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আম্বরখানা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও এবং বিবিআইএস- এর বর্তমান অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদ; ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমেদ সেফুল, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সহকারী শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বার্ষিক ক্রীড়া পরিষদের সমন্বয়কারী সিনিয়র প্রভাষক তামান্না রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহীদকে।
তিনি আরো বলেন, ক্রীড়া শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিষয়। আজকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সকলের মাঝে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া উপস্থিত অতিথিবৃন্দ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। এরপর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি এবং উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকমন্ডলী সার্বিক কার্যক্রম তদারকি ও পরিচালনা করেন। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে এবং তা সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো প্রাণবন্ত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তার সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আম্বরখানা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।