সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৫২ সালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা মাতৃভাষায় কথা বলা ও বাকস্বাধীনতার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও ভাষাশহিদদের সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন মাতৃভাষায় কথা বললেও বাকস্বাধীনতা নেই, মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারে না। বর্তমান যুগে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ সোশ্যাল মিডিয়া। সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তাই মহান ভাষাশহিদদের রক্তের শপথ নিয়ে মানুষের বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। তবেই ভাষা আন্দোলন স্বার্থকতা পাবে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর জিন্দাবাজার থেকে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মউৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা বিরোধী। তাই ভাষাশহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে মানুষের বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, আব্দুন নুর চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ, মামুনুর রশীদ চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, ইসতিয়াক সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিম, আনোয়ার হোসেন মানিক, ময়নুল হক, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, শাকিল মোর্শেদ, আলী আকবর, সুরমান আলী, আজিজুর রহমান আজিজ, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, বাদশা আহমদ, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, লোকমান আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, অর্জুন ঘোষ, মাহবুব আলম, রায়হান এইচ খান, জাহাঙ্গির আলম জীবন, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, ডা. নাজিম উদ্দিন, সামসুর রহমান সুজা, আক্তার হোসেন রাজু, আল মামুন, শাহীন আলম জয়, জি.এ বাপ্পী, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, কল্লোল জ্যোতি জয়, কবির হোসেন, তৈয়বুর রহমান, ইকবাল আহমদ রাজু, গোলাম কুদ্দুস কামরুল, ইউনুস মিয়া, মাসুক এলাহী, নুরুল ইসলাম, খবির আহমদ নুনু, সাহেদ আহমদ, নজরুল ইসলাম, ফাহিম আহমদ, তানবীর আহমদ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন রাহেল, জুয়েল আহমদ, আজমল হোসেন অপু, রিফল আহমদ, ছয়দুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, রনি পাল, ফয়সাল আহমদ, ইমরান হোসেন, আবুল কাশেম, জুবায়ের আহমদ শিমুল, রফিকুল ইসলাম, সুবেদ খাঁন, ইমাম মোহাম্মদ জহীর, সাহেদ আহমদ, রায়হান আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শহিদমিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দীর্ঘ ৭ মাস কারাবরণ শেষে মুক্তি পাওয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুলকে শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।