‘আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসছে না’

আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। এবার সিলেটসহ দেশের অন্য পাঁচ সিটি করপোরেশনের নৌকার পক্ষে গণজোয়ারের খবর তাদের অজানা নয়। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুক্রবার (৫মে) বিকেলে সিলেট মহানগরীর একটি অভিজাত হলে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জেবুন্নেছা হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নানক। এসময় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা জানে জনগণ তাদের সাথে নেই। কারণ, তাদের দুঃশাসনের স্মৃতি মানুষ ভুলেননি। এ অবস্থায় নিশ্চিত পরাজয়ের ভয়ে তারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না। আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে কেউ নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কিছু নেই।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সিলেট সিটি করপোরেশনের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দিলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এটা সিলেটবাসীর দুর্ভাগ্য। তবে এবার নৌকার জয় হবে এবং অবশ্য সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

সিলেটসহ সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকা জিতবে- এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষ ক্ষমতায় আওয়ামী লীগকেই দেখতে চায়। তাই এ আসনে নৌকার সাথে অন্য প্রার্থীরা কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি।’

নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আবারও সব ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীনতার প্রতিক নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি মানুষের ঘরেঘরে গিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোহাম্মদ আলী দুলাল ও এটিএম হাসান জেবুলের যৌথ পরিচালনায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড. আহমদ আল কবির, এডভোকেট শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, এডভোকেট রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: মবশ্বির আলী, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শিল্প ‍ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মোস্তাকুর রহমান মফুর, মো. নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, শাহাদাৎ রহিম, আবদাল মিয়া, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, শাহিদুর রহমান শাহিন, আনহার মিয়া, এডভোকেট নুরে আলম সিরাজী, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, মো. আব্দুল বারী, আবু হেনা মো. ফিরোজ আলী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মো. জাকির হোসেন, এডভোকেট আফসর আহমদ, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।

মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাৎ রহিম, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আসমা কামরান, জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন আহমদ কয়েস, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মালেক,জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, জেলা তাঁতী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওলিউর রহমান, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোওয়ার জাহান সৌরভ।

উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মফুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি এম.জেড কয়েছ গাজী, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ এস.এম আবজাদ হোসেন আমজাদ, আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান প্রমুখ।