তার বয়স এখন ৩৮। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবলেও তার প্রদীপ নিভু নিভু প্রায়। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও খেলছেন না এখন আর। ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে নাম লিখেছেন এশিয়ান ফুটবলে, সৌদি প্রো লিগের আল নাসর ক্লাবে।
তবুও এমন একজন ফুটবলারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেননি পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে লিচনস্টেইনের বিপক্ষে স্কোয়াডে রেখেছেন তিনি ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারকে।
ইউরোপ কিংবা বড় কোনো ক্লাবে না খেললেও রোনালদোর মাঠে নামা মানেই রেকর্ড আর শিরোনাম। তিনি কোনো না কোনো রেকর্ড গড়বেনই এবং কোনো না কোনো শিরোনামে আসবেনই।
এবারও তিনি সংবাদের শিরোনামে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) লিচনস্টেইনের বিপক্ষে ইউরো বাছাই পর্বের ম্যাচে যদি রোনালদোকে দলে সুযোগ দেন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ, তাহলে তিনিই হয়ে যাবেন ফুটবল ইতিহাসে জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
কাতার বিশ্বকাপেই তিনি পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন ১৯৬তম ম্যাচ। এবার লিচনস্টেইনের বিপক্ষে মাঠে নামলে তার নামের পাশে শোভা পাবে ১৯৭তম ম্যাচ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৯৬ ম্যাচ খেলেছেন কেবল কুয়েতের বদর আল মুতাওয়া। যিনি তার সর্বশেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ২০২২ সালের ১৪ জুন। লিচনস্টেইনের বিপক্ষে মার্টিনেজ হয়তো তাকে শুরুর একাদশে রাখবেন। যদি তা নাও হয়, তাহলে রোনালদোকে দ্বিতীয়ার্ধে হলেও নামাতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও রেকর্ডটা গড়ে ফেলবেন তিনি।
২০০৩ সালের ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় রোনালদোর। ১৯৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১১৮টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার চেয়ে বেশি গোলও নেই আর কারো। রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি রয়েছেন বেশ পেছনে। ১৭২ ম্যাচ খেলে মেসির গোলসংখ্যা ৯৮টি।
সর্বোচ্চ ম্যাচের মালিক যেসব ফুটবলার
বদর আল মুতাওয়া (কুয়েত): ১৯৬ ম্যাচ
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল): ১৯৬ ম্যাচ
সোহ চিন অ্যান (মালয়েশিয়া): ১৯৫ ম্যাচ
আহমেদ হাসান (মিশর): ১৮৪ ম্যাচ
মুবারক (ওমান): ১৮৩ ম্যাচ
সার্জিও রামোস (স্পেন): ১৮০ ম্যাচ
কুয়ার্দাদো (মেক্সিকো): ১৭৯ ম্যাচ
আল দিয়াইয়া (সৌদি আরব): ১৭৮ ম্যাচ
ক্লদিও সুয়ারেজ (মেক্সিকো): ১৭৭ ম্যাচ
জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি): ১৭৬ ম্যাচ