সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মৃধা গ্রামের রাজা মিয়ার পুত্র রেজুয়ান মিয়া (৩০) গত ২৩ অক্টোবর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থিত মেডিল্যাব হাসপাতালে এসেছিলেন একজন রোগীকে রক্তদান করতে। যথারীতি রক্তদানের পূর্বে মেডিল্যাব হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে রক্তের স্যাম্পল দেন তিনি। ঘন্টা খানেক পর রিপোর্ট হাতে দিয়ে উনাকে জানানো হয় তিনি এইচআইভি পজেটিভ।
মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে পড়ে রেজুয়ান মিয়ার মাথায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে মানসিকভাবে অসুস্থ পড়েন তিনি। লজ্জা আর শঙ্কায় কাউকে কিছু না বলে ঘরের ভিতরে পড়ে থাকেন রেজুয়ান। ২৪ অক্টোবর সকালে বন্ধুকে জানান বিষয়টি। বন্ধুর মারফত পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে একইদিন হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান রেজুয়ানকে।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের প্যাথলজিতে এইচআইভির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে রেজুয়ানের। এতে রেজুয়ান মানসিকভাবে হন কিছুটা আশ্বস্ত ও তবুও কি মনের সন্দেহ দূর হয়? ২৫ অক্টোবর সকালে রওনা দেন সিলেটের উদ্দেশ্যে। সেদিন বিকালে সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে আবারও রক্ত পরীক্ষা করান রেজুয়ান। সেখানেও তার এইচআইভি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রেজুয়ান মিয়ার অভিভাবকসহ কয়েকজন মেডিল্যাব হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে আসার পর কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় তাদের। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আর্থিক রফাদফায় শেষ হয়। যদিও আর্থিক রফাদফার বিষয়টি অস্বীকার করেন রেজুয়ানের অভিভাবক।
এ বিষয়ে রেজুয়ান মিয়া বলেন- ‘আমি ২৩ অক্টোবর একজনকে রক্তদান করতে মেডিল্যাব হাসপাতালে যাই। সেখানে আমার রক্ত পরীক্ষা করে আমাকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে জানায় আমার এইচআইভি পজেটিভ। পরে আমি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে দুই বার পরীক্ষা করে জানতে পারি আমি এইচআইভি পজেটিভ নই।’
এ বিষয়ে মেডিল্যাব হাসপাতালের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম জানান- ‘বিষয়টি হয়তো ভুলে হয়েছে। আমাদের টেকনিশিয়ান বলেছিলো বড় মেশিনে পরীক্ষা করতে। তিনি তা করেননি।’