অবশেষে জয়ের দেখা পেলো সিলেট

টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দায়িত্ব পেয়েই প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেলেন এই অধিনায়ক। সেই সাথে ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয় পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৫ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর এই জয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।

আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। তারকা পেসার শরীফুল ইসলামের দাপুটে বোলিংয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩ রান তুলতেই বিদায় নেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। তিনটি উইকেটই তুলে নেন শরীফুল। এর মধ্যে ওপেনার শামসুর রহমান শুভ ও চার নম্বরে নামা জাকির হাসানকে শূণ্য রানে ফেরান সাজঘরে। নাজমুল হোসেন শান্ত এদিনও ব্যর্থ, ১২ বল খেলে করেন মাত্র ৩ রান। আগের ম্যাচগুলোর মতোই যখন আসা যাওয়ার খেলায় মেতেছিলেন ব্যাটাররা তখন ক্রিজে এসে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মিঠুন। এরপর ধীরে ধীরে দলীয় স্কোর বড় করায় মন দেন মিঠুন। সামিত প্যাটেলকে সাথে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। আরফাত সানির বলে আউট হবার আগে প্যাটেল করেন ৩২ বলে ৩২ রান। এরপর আর যোগ্য সঙ্গী পান নি মিঠুন। রায়ান বার্ল ১ আর বেনি হাওয়েল ১১ রান করে ফিরে গেলে আরিফুল হকের সাথে জুটি বেঁধে রানের চাকা সচল রাখেন সিলেটের নতুন অধিনায়ক। আরিফুল হকের ৯ বলে ২১ আর মিঠুনের ৪৬ বলে ৫৯ এর উপর ভর করে ৮ উইকেটে ১৪২ তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন শরীফুল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১২৭ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তাসকিন আহমেদ।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এনগারাবা। এছাড়া রেজাউর রহমান রাজা ২টি উইকেট নেন।