২০১৭ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন খায়রুল নামের এক যুবক। ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে অপহরণের পাঁচ বছর পর ওই যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানের ঝোপের মাটি খুঁড়ে বুধবার দুপুরে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাত ৮টায় ঝালকাঠি সিআইডি কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার এহসানুল হক সাংবাদিকদের এ ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, খুন হওয়া মীর খায়রুল রাজাপুর শহরের বাইপাস মোড় এলাকার আনছার মীরের ছেলে ছিলেন। রাজাপুর বাইপাস এলাকায় একটি পরিবহনের কাউন্টারের ব্যবসা করতেন।
বিগত ২০১৭ সাল থেকে খায়রুল নিখোঁজ ছিলেন। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজু নামের মামলার এক সাক্ষীকে সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের বাঁশঝাড়ের নিচে মাটি খুঁড়ে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে খায়রুলকে অপহরণ করে এই মামলার আসামি মনিরের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার করে মরদেহ পুঁতে রাখা হয় বাড়ির পাশে।
হত্যায় জড়িত ছিলেন চারজন। তারা হলেন কানুদাসকাঠি এলাকার ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস।
পরবর্তী সময়ে ওই স্থান থেকে মরদেহটি পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানে স্থানান্তরের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় মিজান হাওলাদার মিজু নামের এক ব্যক্তিকে।
এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় মামলা করেন খায়রুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম। থানা পুলিশ কিছুদিন তদন্তের পর ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলার আসামিরা পলাতক।