রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২৪টিরও বেশি দেশের রাজনীতিবিদদের প্রভাবিত করতে গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে এর পেছনে ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করেছে মস্কো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকারও বেশি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার প্রকাশিত গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে মস্কোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি সমুদ্র ভাসমান তুষারস্তূপের উপরিভাগ মাত্র।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন হলো, প্রকৃতপক্ষে এই তহবিলের অঙ্ক আরও বেশি। কেননা, যেসব ঘটনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেগুলোতে হয়তো মস্কো আরও বেশি অর্থ ঢেলেছে।
মস্কো নিজেই বারবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের আনা অভিযোগের ব্যাপারে রাশিয়ার তরফে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ২৪টিরও বেশি দেশের কথা বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কোনও দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে ওয়াশিংটন বলছে, মস্কোর এমন কর্মকাণ্ড চারটি মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার দেশের গোয়েন্দারা এখন বাছাইকৃত দেশগুলোকে রাশিয়ার গোপন অর্থায়নের বিষয়ে ব্রিফ করছে। তবে এসব ব্রিফিং গোপনীয় থাকবে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস রাশিয়ার কথিত গোপন তহবিলকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ‘সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।