অতিবৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরের বিশাল জলরাশির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিয়াসী পর্যটকরা। বৈরী আবহাওয়া জেনেও হাওর আর প্রকৃতির টানে পর্যটকেরা তাহিরপুরে ছুটে আসছেন বর্ষার এ সময়টাতে।
এদিকে তাহিরপুরের আনোয়ারপুর সড়ক ও বিশ্বম্ভরপুরের শক্তিয়ারখলা এলাকার সাবমারসিবল সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই যেসব পর্যটকেরা সড়কপথে আসছেন তারা অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই নৌকা দিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছেন।
রোববার (২ জুলাই) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল মাথায় নিয়েই সিলেট, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত শতাধিক পর্যটক টাঙ্গুয়ার হাওড়ের ওয়াচ টাওয়ারে ভীড় করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার লাউড়েরগড় পয়েন্টে ১১১ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আর যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, তাহিরপুরসহ সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আগামি ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভবনা রয়েছে এতে করে এ অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে আসা ম.ম শাহীন জানান, হাওরের বিশাল জলরাশি আর অদূরে পাহাড় সবকিছু একসঙ্গে দেখতে অনেক ভালো লাগছে। তাছাড়া হাওরের বৃষ্টিতে ভিজে একসঙ্গে সবাই আনন্দ করছি। বৈরী আবহাওয়া নিয়ে কোনো আতঙ্ক রয়েছে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বৃষ্টি উপভোগ করতেই হাওরে ছুটে আসা।
আরও পড়ুন : শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ সমাগম নেই
হাউজবোট জলছবির মালিক হাসানুর রহমান জানান, বর্ষার এ সময়টাতে হাওরের রূপ সৌন্দর্য্য দেখতে পর্যটকেরা টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ছুটে আসেন। হাওর ও বৃষ্টি পর্যটকেরা অনেক উপভোগ করছেন। হাউজবোট নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি টাঙ্গুয়ার হাওরে চলাচল করা যাচ্ছে, এতে কোনো সমস্য হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ‘কয়েকজন পর্যটক জানাল, বৃষ্টি উপভোগ করতেই নাকি এ সময়টাতে তাদের হাওরে ছুটে আসা। তবে আমাদের পরামর্শ হল, যেহেতু টানা বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢল নামছে তাই সবকিছুর খোঁজখবর নিয়েই যেন পর্যটকরা তাহিরপুরে ঘুরতে আসেন।’