দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। রবিবার (৩০ জুলাই) দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে রবিবার দোয়ারাবাজারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাজসজ্জা করা হয়েছে পুরো হাসপাতাল এলাকা।
সার্বিক পরিস্থিতি জানতে শনিবার (২৯ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গেলে সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালে ইতোমধ্যে কোভিডের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসাপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্ট স্থাপন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যাকলীন ডায়রিয়া প্রতিরোধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন, ওষুধ বিতরণ, ইপিআই ভেকসিন এবং কোভিড ভেকসিন নৌকাযোগে ওয়ার্ড পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়াও সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটার চালু, ওটি লাইট, এনেস্থিসিয়া মেশিন স্থাপন, হাইড্রোলিক বেড মেরামত, এক্সরে মেশিন চালু, এ্যাম্বুলেন্স চালু, নবজাতকের জন্য রেডিয়েন্ট ওয়ারমার চালু, গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মা-সমাবেশ চালু, নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা, ইমার্জেন্সীতে ২৪ ঘন্টা ইসিজি চালু, ডেঙ্গু টেষ্ট, বিনামূল্যে ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় এনসিডি কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবার মান বাড়লেও জনবল সঙ্কটের কারণে ভোগান্তির অন্ত নেই। আশা করি মন্ত্রী এসব বিষয়ে নজর দেবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সালেহীন খান বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি যোগদানের পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নীত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে হাসাপাতালে জনবল সঙ্কট।
তিনি আরও বলেন, ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ায় এবং জনবল সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলে প্রত্যন্ত এলাকার অধিকসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।