মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় নাম না থাকলেও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মী ও নেটিজেনদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতির দায়েরকৃত মামলার সুনামগঞ্জ শহর থেকে সেলিম আহমদকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
নেতাকর্মী ও নেটিজেনরা বলছেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সেলিম আহমদের পরিবারের লোকজন বলছেন, তাহিরপুরে গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটান সেলিম আহমেদ। এ নিয়ে নিজ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগর এলাকাবার বাসিন্দা অলিউর রহমানের সাথে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল সেলিম আহমদের চাচাতো ভাই তারেক আহমদের। এর জেরে গত ১১ আগস্ট তাহিরপুর থানায় তারেক আহমদকে প্রধান আসামি করে তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন যুবদল নেতা অলিউর রহমান। এই মামলায় ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। তবে মামলার বিবরণে কোথাও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদের নাম বা ইঙ্গিতে তার সম্পৃক্ততার কথা ছিল না।
সেলিম আহমেদর বড় ভাই ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার ভাইয়ের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল উৎকণ্ঠিত। তাই তারা বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুবিন আহমদ বলেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। যুবদল নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের দলের একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধি সেলিম আহমদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তালিকাভুক্ত আসামি না হওয়ার পরও তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
মামলার বাদী যুবদল নেতা অলিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সেলিম আহমদকে কেন মামলায় যুক্ত করা হয়েছে তাহিরপুরের পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এখন টায়ার্ড, কথা বলতে পারব না।