সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে আলোচনার পাশাপাশি পরিবেশিত হয় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি এবং নাটক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক আল আজাদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রাণাকুমার সিনহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিধূভূষণ ভট্টাচার্য্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সহ সভাপতি বিভাষ শ্যাম পুরকায়স্থ যাদন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি শামসুল বাসিত শেরো, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, জাতীয় নৃত্যশিল্পী সংস্থার সিলেট বিভাগের নীলাঞ্জনা দাশ জুই, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সিলেটের প্রতীক এন্দ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ বিজয় চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- দেশে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অপশক্তিগুলো শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সব সময়ই নানা অপতৎপরতা চালায়। এমন বাস্তবতায় ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখা সময়ের দাবি হয়ে ওঠে। ‘আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ তেমনই একটি উদ্যোগ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতারা বলেন, চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের জন্য সাংস্কৃতিক সংহতির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এ উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য। দেশের চলমান গণতান্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত রাখতে সমাজের সব অংশের মানুষের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে অপশক্তির বিরুদ্ধে সমাজের শুভশক্তির সক্রিয়তা বৃদ্ধি করারও আহ্বান জানান তারা।
আলোচনা সভার পরেই অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নৃত্যশিল্পী এবং সংগঠক নীলাঞ্জনা জুঁই এর নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নৃত্যানুষ্ঠান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহর গ্রন্থনা, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুলের নির্দেশনা এবং আবৃত্তিশিল্পী নাজমা পারভীন, সুকান্ত গুপ্তের সহ নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় আবৃত্তি প্রযোজনা সংস্কৃতির বাংলা। রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী প্রতীক এন্দ এবং অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় সমবেত সংগীত পরিবেশনা।
আজাদ আবুল কালমের রচনা, হুমায়ুন কবির জুয়েলের নির্দেশনা এবং রজতকান্তি গুপ্ত ও বিপ্লব শ্যাম পুরকায়স্ত সুমনের সার্বিক তত্বাবধানে পরিবেশিত হয় নাটক ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’। প্রায় তিন শতাধিক শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীর সম্মিলনে শেষ হয় আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
আয়োজন ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের প্রচার সম্পাদক খোকন ফকির, দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অনি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্প্রীতির বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ‘আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে দেশজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।