শান্তিগঞ্জে বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীদের গণসংবর্ধনা

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বিএনপির প্রবাসী নেতাদের গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার জয়কলস ইউনিয়ন বিএনপির ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নাইন্দারপাড় এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে শান্তিগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আমান আলীর সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা লিটন মিয়া মেম্বার ও হুমায়ুন কবিরের যৌথ পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমল ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ সব সময় নির্যাতিত ছিলো। আওয়ামীলীগ সরকার একটি দুঃশাসন কায়েম করেছিলো। আজকের রাজনীতি মানে কী ঠিকাদারী, কাবিকা, কাবিখা ও পানি উন্নয়নের বাঁধের টাকা লুটপাট করা? না। রাজনীতি হচ্ছে জনগনের সেবা করা। কিন্তু আওয়ামীলীগের দোসররা এই রাজনীতিকে নিজের রোজগারের পথ হিসেবে বেচে নিয়েছিলো। লুটপাট করে নিজেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছিলো। আমাদের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়ও কেউ কেউ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। যারা রাজনীতির নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করেছিলো তারা নিশ্চিত একদিন ধরা খাবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশরা মিলে ১৭শ’ মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। রক্তের হুলি খেলায় তারা মেতে উঠেছিলো। আমরা কথা বলতে পারিনি, সাংবাদিকদের মুখে তালা দিয়ে রেখেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বিরুধী মতামত সহ্য করার কোনো ক্ষমতাই হাসিনার ছিলো না। বিএনপি ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে চায়। আইনের শাসন কায়েম করা, আইন শৃঙ্খলার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতে চায় বিএনপি। এসব কাজ বাস্তবায়নে কাদের দরকার? কোন রাজনৈতিক দল এইসব নিয়ে চিন্তা করে? কোন রাজনৈতিক দল এমন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের যোগ্যতা রাখে? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তাতে জনগণের কথাই বলা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রওশন খান সাগর, সহ-সভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকিকুর রহমান আকিক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম নাঈম, পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, যুবদল নেতা ফরিদ গাজী, শ্যামল চৌধুরী, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি সজীব আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শোয়েব আহমদ, জোনায়েদ আহমদ ফয়ছল, ছাত্রদল নেতা মানছুর আহমদ, প্রজন্ম দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রোমান আহমেদ, জয়কলস ইউনিয়ন প্রজন্মদলের সহ-সভাপতি কাউছার আহমদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইলিয়াছ আলী, সিরাজ মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল কালাম, সাব্বির আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিবুর রহমান, শিপাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক হিফজুর রহমান চৌধুরী দিদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক গৌছ উদ্দিন, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন মিয়া, পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন কনু শাহ্, জয়কলস ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, আলী নূর, মুজিবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অজিত দাশ, উপজেলা যুবদল নেতা হাসনাত হোসেন, তোফায়েল আহমদ, আঙ্গুর মিয়া, সৈয়দ আলম, হুমায়ুন কবির, সাবলু মিয়া, আইনুল হক, হান্নান মিয়া, শাকিল আহমদ, আবু সাইদ, নুনু মিয়া, ছমির উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক, সদস্য ইয়াহিয়া পারভেজ, জসিম উদ্দিন, জোবায়ের আহমদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, আতাউর রহমান, তদরিছ মিয়া, খালেক মিয়া, জাফর আহমদ, আবু সালেহ্, জাহাঙ্গীর আলম সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ হারুন, ছাত্রদল নেতা খাইরুল আলম সাব্বির, কামরুল ইসলাম, আবু সাঈদ সুমন, কবির আহমদ, কাউছার আহমদ, প্রজন্মদলের জেলা কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শব্দেন নূর সাগর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ইয়াহিয়া, প্রজন্মদল নেতা নূর হোসেন, নিজাম উদ্দিন, দিলাল আহমদ, সুজন মিয়া, সুমন আহমদ, মাছুম আহমদ প্রমুখ।