লাখাইয়ে আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ, ফলন নিয়ে শঙ্কা

লাখাইয়ে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপজেলার করাব, মুড়িয়াউক, মোড়াকড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে সবচেয়ে বেশি এসব মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের চাষ হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়েও অনেক বেশী। তবে মাজরা পোকার আক্রমণে কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমনের চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৯৬০ হেক্টর। চাষ হয়েছে প্রায় ৪৫০০ হেক্টর। অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পারও ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উপজেলার করাব ইউনিয়নের রাঢ়িশাল, করাব, হোসেনপুর, বুল্লা ইউনিয়নের ভোমাপুর, মুড়িয়াউক এবং মোড়াকরি ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় এ সকল এলাকার কৃষকের মাঝে দেখা দিয়েছে ফসলহানির শঙ্কা।

উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়নের করাব মাঠ পরিদর্শনে দেখা যায়, এ গ্রামের কৃষক শাহীন মিয়া তার জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।

আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঠের বেশীরভাগ জমিতে মাজরার আক্রমণ হয়েছে। সমূহ ক্ষতি থেকে রক্ষায় কীটনাশক ছিটাচ্ছি।’

এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার অমিত ভট্টাচার্য্য জানান, মাজরা পোকার আক্রমণ ঠেকাতে রোপনের সাথে সাথে পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভাল হতো।যেহেতু আক্রমণ শুরু হয়েছে, এ অবস্থায় কীটনাশক ব্যবহার করে হবে।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ২০/২৫ হেক্টরের মতো জমিতে মাজরাপোকা আক্রমণ করেছে বলে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে অনুমেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার বলেন, ‘লাখাইয়ে কয়েকটি মাঠে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। আমি ও আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ মাঠে পরিদর্শন করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থায় জমির পানি বের করে দিয়ে বিঘা প্রতি ৫ কেজি করে মিউরেট অব পটাশ (এম.ও.পি) প্রয়োগ করতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কীটনাশক ভিরতাকো / মিপসিন / এসিমিক্স সকালে অথবা বিকালে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’