দেশজুড়ে চলমান হরতাল-অবরোধে ট্রেনে বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে প্রাণহানিও। এমন বাস্তবতায় ট্রেন যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও রেলপথে নাশকতা রোধে সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব-৯, সিলেট।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-৯ এর উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি রেলপথে নাশকতা রোধে র্যাব-৯ এর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন কেটে ফেলাসহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নাশকতা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর আওতাধীন এলাকা সিলেটসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাস্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল (মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র) ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর আওতাধীন স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময় সুইপিং কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।
যে কোন ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে র্যাব-৯ কর্তৃক সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব-৯ এর উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক জানান, ট্রেনের যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা ও রেললাইনের নাশকতা রোধে র্যাব-৯ কর্তৃক উক্ত নিরাপত্তা জোরদারকরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে র্যাব-৯ বদ্ধপরিকর।