যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন কনজারভেটিভ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন ৪৭ বছরের লিজ।
লিজ ট্রাসের পক্ষে গেছে ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট; ৪২ বছরের ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, তীব্র মন্দার আভাস, শ্রম অসন্তোষ, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম এবং সম্ভাব্য জ্বালানির ঘাটতি— এসব মোকাবিলা করতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি দামের ধাক্কা থেকে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে নতুন সরকারকে।
স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে মঙ্গলবার রানির সঙ্গে দেখা করবেন লিজ ট্রাস। সেখানে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেবেন রানি। এই প্রাসাদে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
প্রথা অনুযায়ী বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে এবার ভ্রমণের ঝক্কি নিতে চাচ্ছেন না রানি। তাই মঙ্গলবার সকালে উত্তরসূরিকে নিয়ে স্কটল্যান্ড ছুটবেন বরিস জনসন।
ডাউনিং স্ট্রিটে লন্ডন সময় মঙ্গলবার বিকেলে বক্তৃতা দেবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ঘোষণা করবেন মন্ত্রিসভা।
প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে কিছু জনমত জরিপে টোরিদের নেতৃত্ব দিয়েছে লেবার পার্টি। বিশেষজ্ঞরা বলছে, অর্থনীতির পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শাসনামলে বিভক্ত কনজারভেটিভ পার্টির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বড় চ্যালেঞ্জ।
একাধিক কেলেঙ্কারির পর রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা জুলাইয়ে বরিসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। তবে দলের তৃণমূলের কাছে এখনও জনপ্রিয় তিনি। বলা হচ্ছে, বরিসের এই জনপ্রিয়তা তার উত্তরাধিকারীর কাজকে জটিল করে তুলতে পারে।