মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি সীমান্তে। এসব এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে দিনে কিংবা রাতে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘রাতে বন্ধ থাকলে আবার সকালে শুরু হয় গোলাগুলি। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। গতকাল (শনিবার) বিকেলে গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকাল বিজিবি।
‘এখন সকালে মোরগের আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠতে হয় না। মিয়ানমারে গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।’
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মুজিব উল্লাহ বলেন, ‘গত পাঁচ দিন ধরে শান্তি করে ঘুমাতে পারি না। একটু ঘুম আসলে গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।
‘তাদের যুদ্ধ চলছে। আমাদের জন্য অশান্তির বার্তা নিয়ে আসে। সীমান্তের মানুষ ভয়ে রাতে অনেকটা নির্ঘুম থাকছে।’
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘আজ (রোববার) সকাল ৯টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে, স্থানীয়রা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সবসময় প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি আমাদের জনপ্রতিনিধি তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আজ গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে, তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
‘সীমান্ত এলাকা হওয়াতে মানুষের মনে একটু ভয় কাজ করে। এটা স্বাভাবিক বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সবসময় প্রস্তুত আছে।’