একটা সময় মনে হয়েছে দুইশো পেরোনোটাই কষ্টসাধ্য হবে। তবে শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর দৃঢ়তায় ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করেছে বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বরাবরের মতোই হতাশ করেছে ওপেনিং জুটি। ইনিংসের প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির পর এবার গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) সাজঘরে টাইগার ওপেনার।
তরুণ তানজিদ হাসান তামিমও ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরুতে পারেন নি আজও। লকি ফার্গুসনের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তামিম। তার আগে ১৭ বলে করেছেন ১৬।
তিনে নামা মিরাজ কিছুটা ভরসা দিলেও বেশিদূর যেতে পারেন নি। ব্যক্তিগত ৩০ রানে থাকা অবস্থায় ফার্গুসনকে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৪টি বাউন্ডারি।
এরপর বাজেভাবে আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। গ্লেন ফিলিপসে সাদাসিদা এক বল আলতো করে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন পয়েন্টে থাকা কনওয়ের কাছে। ৮ বল খেলে ৭ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় স্কোর তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান।
এরপর মুশফিক-সাকিব জুটিতে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ দল। এ দুজন মিলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। দুজনেই সাবলীলভাবেই ব্যাট করছিলেন। মুশফিক তার অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন। তবে ৩০তম ওভারের শেষ বলেই ঘটে বিপত্তি। ফার্গুসনের করা আগের বলে পুল করে ৬ মেরেছিলেন সাকিব। পরের বলও একইভাবে মারতে গিয়ে টাইমিংএর ভুলে ক্যাচ তুলে দেন। উইকেট কিপার লাথামের হাতে ধরা পড়ার আগে ৫১ বলে করেছেন ৪০। তিন বাউন্ডারির সাথে সাথে দুটি ছক্কাও হাঁকান টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব ফিরে যাবার পরও ক্রিজে মুশফিকুর রহিম আর তাওহীদ হৃদয় জুটিতে আশা জাগাচ্ছিলো, তবে দলীয় ১৭৫ রানে মুশফিক আর ১৮০ তে হৃদয় ফিরে গেলে দুইশ ছোঁয়াটাও অসম্ভব মনে হয়। আউট হবার আগে ৭৫ বল খেলে ৬৬ রান করেন মুশফিক। হৃদয় করেন ২৫ বলে ১৩।
সেখান থেকে তাসকিন, মুস্তাফিজ আর শরীফুলকে সাথে নিয়ে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৪৫ করে বাংলাদেশ দল। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
কিউইদের হয়ে ফার্গুসন নেন ৩ উইকেট। হেনরি ও বোল্ট নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।