বিশ্ববাজারে আরও কমল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে তেলের দাম নিম্নমুখী।
সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টায় লক্ষ্য করা গেছে, প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমে ৯৪ দশমিক ১৮ ডলারে নেমে এসেছে। এটি ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের পর সর্বনিম্ন দাম।
এ ছাড়া সাপ্তাহিকভিত্তিতে জ্বালানি তেলের দাম ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
এদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৬৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমেছে। বর্তমানে তা ৮৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮০ সেন্ট বেড়ে হয় ৯৪ দশমিক ৯২ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৭ সেন্ট বেড়ে হয় ৮৯ দশমিক ০১ ডলার।
ব্লুমবার্গের বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর তেলের দাম পর এবারই সর্বনিম্ন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের ফলে তেলের চাহিদা কমছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে গত ৬ মাসে তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
মার্কিন গ্যাসোলিনের ব্যবহার কমেছে। লিবিয়া থেকেও তেলের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে অস্থিরতা কিছুটা কমে যাবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া চীনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশের আমদানিও হ্রাস পেয়েছে।
দুই মাস আগেও ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম বেড়ে ১২০ ডলার হয়ে যায়। তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়।
লন্ডনভিত্তিক ফোরেক্স কোম্পানি ওয়ান্দার জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেন, ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টি বাজার কতটা চাপের মধ্যে থাকবে সেটার উপর নির্ভর করবে।