বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা ও লোডশেডিং বন্ধ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর শহিদ মিয়া, ইউসুফ আলী, মামুন বেপারি, চালক সংগ্রাম পরিষদের নুরুল ইসলাম, ইমরান আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আবারো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেছে। যে কোন সময় দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে। যদিও ৭টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লাভের মধ্যে রয়েছে, তারপরও তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার এ কাজটি করতে যাচ্ছে। গত ১২ বছরে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ৯০%। বিদ্যুতের দাম বাড়লে এর নেতিবাচক প্রভাব নিত্যপণ্যেসহ সকল ক্ষেত্রে পড়বে। ইতিমধ্যে জ্বালনি তেলের ৫১% দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার, বাসভাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তা হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে ভয়াবহ লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত। এর জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। আমাদের ৬০ শতাংশের বেশি গ্যাসভিত্তিক। যদিও গ্যাস, কয়লা, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সৌরশক্তি, পানি, বাতাস, জৈববর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি করলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি। সরকারের নীতিই আজকে গ্যাস সংকটের জন্য দায়ী।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রেন্টাল-কুইকরেন্টালের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকদের দিয়েছে। অনেকে মনে করছে সরকার উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানির যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য গ্যাস দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রচার করছে।
বক্তারা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, লোডশেডিং বন্ধ করা ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।