সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যার পর গত ১৭ জুন থেকে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলের উপজেলাগুলোতে শুরু হওয়া বন্যায় ইতিমধ্যে জেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভয়াবহ বন্যায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যাকবলিত এই উপজেলায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম কিংবা উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা।
আর নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। নৌকা তৈরির কারিগর এবং বিক্রেতারা বলছেন, কাঠের দাম বেড়ে যাওয়া এবং নৌকা তৈরির মিস্ত্রি সংকট থাকায় বেড়েছে নৌকার দাম। তবে কাঠ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঠের দাম তেমন বাড়েনি। বন্যা পরিস্থির জন্য কাঠ আসছে না।
উপজেলায় কাকাইলছেও ইউনিয়নের রনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া ও নরেন দাস জানান, ইউনিয়নের সব গ্রাম পানিবন্দী হয়ে গেছে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম এমনি কোথাও কোথাও এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে যেতে হলে লাগে নৌকা।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়ন থেকে নৌকা কিনতে আসা কিরণ দাস, মোতলিব মিয়া বলেন, আগে যে নৌকা ৪/৫ হাজার টাকায় কিনেছি সেই নৌকা এখন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
নৌকা বানানোর কারিগর নিরঞ্জন সুত্রধর বলেন, কাঠের দাম বেড়ে যাওয়া এবং নৌকা তৈরির মিস্ত্রি সংকট থাকায় বেশি মজুরিতে মিস্ত্রিরা নৌকা বানাচ্ছেন, যার কারণে দাম একটু বেশি।
কাঠ বাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াছ মিয়া জানান, কাঠের দাম তেমন বাড়েনি। তবে বন্যার কারণে বাজারে কাঠ আসছে না।