নবীগঞ্জের আইয়ুব আলী’র (৪৮) কার্টনে ভর্তি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন মৌলভীবাজার পুলিশ। পরে ময়না তদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে মৌলভীবাজার আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর থানায় পুলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আইয়ুব আলী নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের মৃত আয়ান মিয়ার ছেলে। দাফনের একদিন পর মৃতের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই গভীর রাতে মৌলভীবাজার পুলিশ ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের খঞ্জনপুর এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের দোকান ইমাদ ভেরাটিজ ষ্টোর এর সামন থেকে কার্টন ভর্তি অজ্ঞাতনামা হিসেবে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। উক্ত কাটুনে নবীগঞ্জ লেখা ছিল বলে সুত্রে জানাগেছে। পরে মৃতের ছবি পিবিআই মৌলভীবাজার ফেইসবুক আইডি থেকে আপলোড করা হলে মৃতের আত্মীয় সৌদি আরব থেকে যোগাযোগ করে প্রাথমিক ভাবে পরে দত্তগ্রামের স্থানীয় মেম্বারসহ মৃতের পরিবারের লোকজন মৌলভীবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে আইয়ুব আলীর মৃতদেহ হিসেবে শনাক্ত করেন। ধারনা করা হচ্ছে আইয়ুব আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে কার্টুনে প্যাকেট করে উল্লেখিত স্থানে ফেলে রাখা হয়।
মৃতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আইয়ুব আলীর স্ত্রী ও মেয়ে প্রবাসে থাকে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে মনোমালিন্য রয়েছে। এছাড়া উক্ত আইয়ুব আলী সুদে টাকা লেনদেন করতো। সেই সুবাধে অনেকের কাছেই তার বিপুল পরিমান টাকা পাওনা রয়েছে। অনেকের সাথে টাকা আদায় নিয়ে মনোমালিন্য রয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করে উল্লেখিত স্থানে ফেলে রাখে তা কেউই বলতে পারছেন না। স্বজনদের দাবী পুর্ব আক্রোশে কেউ আইয়ুব আলীকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৌলভীবাজার জেলার খঞ্জনপুর এলাকায় পেলে রাখা হয়েছে। তারা হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে মৌলভীবাজার পুলিশ নবীগঞ্জের দত্তগ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে মনসুর আহমদ (৩৬) এবং মৃত ভুষন দাশের ছেলে অনুপ দাশ নামে দু জন’কে আটক করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) মশিউর রহমান বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। হত্যার মুটিভ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।