ডিসেম্বর থেকে মার্চ, বিজয় থেকে স্বাধীনতা। টানা তিনমাস পাঠ শেষে শ্রেষ্ঠ পাঠক এবং সেরা পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হলো জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর’ বইপড়া উৎসব।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে সিলেট শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, বই পড়া ব্যতিত দেশকে জানা যায় না। তাই দেশকে ভালোবাসতে হলে বইকে ভালোবাসতে হবে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, বইপড়া উৎসবের সাথে আমার আত্নার যোগাযোগ। শুরু থেকেই আমি এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে আসছি। কেননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুশীলন ছাড়া তরুণ প্রজন্ম আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারবে না।
তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আশ্রয়ী বই পড়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. নাসির উদ্দিন খান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ,সিলেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ ও ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক এবং সিসিক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।
বইপড়া উৎসবের সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইনোভেটরের প্রধান সমন্বয়ক প্রভাষক সুমন রায়।
ইনোভেটর এর সমন্বয়ক আশরাফুল আলম অনির তত্ত্বাবধানে এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিবেশনায় পরিবেশিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের।
ইনোভেটরের সদস্য ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী এবং নাফিসা কাউলিন সিগমার উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক এবং লেখক মিহির কান্তি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু, জেলা পরিষদের সদস্য মো: নাসির উদ্দিন, সুবাস চন্দ্র দাস, ইফজাল চৌধুরী, মাওলানা মোসাদ্দিক আহমদ, উইমেনস মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার, শিক্ষিকা কুহেলী রানী রায় ও সালমা খাতুন।
বক্তৃতা পর্ব শেষে সিলেট সদর ও মহানগরসহ ১০টি উপজেলা থেকে ৬৫ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।