জগন্নাথপুরে পৃথক ঘটনায় সমবয়সী দুই স্কুলশিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের হাছনফাতেমাপুর গ্রামে ও কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের হাছনফাতেমাপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে ছাব্বির আহমদ (১৫)। ছাব্বির মিরপুর পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপরজন উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে অজুফা বেগম (১৫)। অজুফা স্থানীয় হাজি মন্তাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অজুফাকে বাড়ির রান্নাঘরের তিরের সঙ্গে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
থানার এসআই অলক দাশ বলেন, ‘সকালে রান্না করা খাবার নিয়ে মায়ের সঙ্গে অজুফার ঝগড়া হয়। এর জেরে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
ছাব্বিরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে ছাব্বিরকে বসতঘরের তিরের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।’