সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সভার তারিখকে কেন্দ্র করে আহত হওয়া দশ জনের মধ্যে ছমির মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জানা যায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বার্ষিক সভা নিয়ে আলোচনার মধ্যে এক পর্যায়ে তারিখ নির্ধারণ নিয়ে মসজিদের মুতায়াল্লি হান্নান মিয়া ও গ্রামের মুরুব্বি মুক্তার মিয়া মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের খেলার মাঠে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। এর মধ্যে আহত তিনজনকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ডুমাই উল্লাহের ছেলে ছমির মিয়া (৭০) মৃত্যু বরণ করেন।
মুক্তার মিয়ার পক্ষের লোকজন জানান, শুক্রবার মারামারির সময় ছমির মিয়া সামনে ছিলেন সে সময় তিনি গুরুতর আহত হন। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই, পরে ডাক্তারদের পরামর্শে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আজ বিকালে মৃত্যু বরণ করেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই অলক দাশ জানান, সভার তারিখকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় আমরা ৫জনকে আটক করে সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করেছিলাম। সেখানে তারা বিষয়টি শেষ করবে বলে জামিনে চলে আসে। এখনো পক্ষে অভিযোগ দেয় নাই এর পরও আমরা সংর্ঘষের পর থেকে সেখানে টহল দিয়ে আসছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনজার্চ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নোয়াগাঁও গ্রামে একজন মারা গেছে শুনেছি। আমি শুনেছি শ্বাসকষ্ট মারা গেছে। এই মারামারিতে মারা গেছে কিনা এটা ময়না তদন্ত হওয়া পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই।