সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। প্রবাসে যাওয়াই ছিল একসময় এখানকার লোকজনের মূল লক্ষ্য। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে দেশে থেকেই কিছু একটা করার চেষ্টা করছেন এ উপজেলার অনেকে।
তাদের মধ্যে একজন মুস্তাকিম ইসলাম। জমিতে ভুট্টা চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন একসময়ের এই ব্যবসায়ী। তার বাগানে ফলেছে আশাতীত সবুজের ফসল। এ বাগান দেখতে প্রত্যহ লোকজনের সমাগম ঘটছে। এলাকার বেকার মানুষজন কৃষি খামার ও ফসলাদি উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছেন।
মুস্তাকিম ইসলাম জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না গ্রামের জবরুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ফসলি জমি চাষ করে আসছেন। নিজের মালিকানাধীন ১৮০ শতক জমি নিয়ে শুরু করেন ভুট্টা ক্ষেত। এদিক-সেদিক করে টাকা যোগাড় করে মনোযোগ দিয়ে শুরু করেন ভুট্টা চাষ। কৃষি অফিস বা সরকারি কোনো প্রকার সহায়তা ছাড়াই ক্ষেতের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। একসময় তার ভুট্টা ক্ষেত হয়ে ওঠে সবুজ-শ্যামল এক বাগান। চলতি মৌসুমে তার জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।
মুস্তাকিম ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে কৃষিকাজের সাথে যুক্ত রয়েছি। আমি নিজ উদ্যোগে সরকারি কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়াই ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। আমার দেখাদেখি এলাকার আরও অনেকে তাদের পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত হোসেন মজুমদার বলেন, শুনেছি এক কৃষক ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনি আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা তা করবো।