গোলাপগঞ্জে ঝগড়া থামাতে গিয়ে সুমন আহমদ (২৬) নামে এক যুবকের ইটের আঘাতে আওয়ারুন নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলায় বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের ব্রিজের উপর এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আওয়ারুন নেছা (৬৫) উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের স্ত্রী। আর অভিযুক্ত সুমন আহমদ বাঘা সোনারটুল গ্রামের ওয়াজিদ আহমদের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিন (১৮) তার গাড়ি নিয়ে পরগনা বাজারে যাওয়ার পথে সড়কে গর্ত থাকার কারণে গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে ময়লা পানি পথচারী সুমন আহমদের (২৬) শরীরে পড়ে। তখন সুমন আহমদ সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চর থাপ্পড় মারে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে এখলাছপুর ব্রিজের উপর আবারো তাদের দেখা হয়। এর এক পর্যায়ে সুমন আহমদ আবারো ছমির উদ্দিনকে গালাগালি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছমির উদ্দিনের মা আওয়ারুন নেছা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে সুমন আহমদ রাস্তা থেকে একটি ইট তুলে আওয়ারুন নেছার বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ইটের আঘাতে আওয়ারুন নেছা গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হোন। এসময় আওয়ারুন নেছার আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফয়জুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃতের সুরতালহাল প্রস্তুতের জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।