দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টায় সিলেট চেম্বারের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসইসি এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের সম্পর্কে বহির্বিশ্বের ধারণাও এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা এখন বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করছি। আমরা দেশের বাইরে রোড-শো করেছি প্রবাসিদের দেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য, যদিও তা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাজ নয়।
তিনি বলেন, বিএসইসি’র কাজ হচ্ছে পলিসি তৈরী করা। আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটের অবস্থার উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করেছি। বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট মহল থেকে যতরকম প্রস্তাবনা গিয়েছে এবং যত জায়গায় সমস্যা ছিল আমরা সমাধান করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘ডেরিভেটিভ মার্কেট চালুর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, আশা করি খুব শীঘ্রই তা চালু হবে। আমাদের ভালো পলিসি আছে, কিন্তু বিনিয়োগকারীরা লং টার্ম বিনিয়োগ করতে চান না। কোম্পানী প্রোফাইল দেখে লং টার্ম বিনিয়োগ করলে অবশ্যই তা লাভজনক হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, শেয়ার বাজার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতে বিরাজমান সমস্যাবলী চিহ্নিতকরণ ও তা নিরসনের লক্ষ্যে “পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শেয়ার বাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিএসইসি’র বর্তমান কমিশন-কে ধন্যবাদ জানান। শেয়ার বাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা আবার ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি ক্যাপিটাল মার্কেটের উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতকৃত প্রস্তাবমালা বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএসইসি এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেন।
সভায় বক্তাগণ পুঁজিবাজারের পলিসিগত উন্নয়নে বর্তমান কমিশনের প্রশংসা করেন। বক্তাগণ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টকরণ, প্রবাসিদের এনআইটিএ একাউন্ট খোলা সহজীকরণ, আইপিও এর আবেদন ফি ১০ হাজার টাকা থেকে হ্রাসকরণ, বোনাস শেয়ার দ্রুত প্রাপ্তি, ডেরিভেটিভ মার্কেট চালু, বিনিয়োগকারীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন, টি-২ এবং এবং টি-১ প্রথা পুণরায় চালু সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর সাবেক চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও ক্যাপিটাল মার্কেট সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ জিয়াউল হক, পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সাব কমিটির চেয়ারম্যান ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, কো-চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, শাবিপ্রবির প্রফেসর ফজলে এলাহী মো. ফয়সল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মো. সাইফুর রহমান, কামরুল আনাম খান, মাহবুবুল আলম, এটিএম তারিকুজ্জামান, পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মজুমদার, মো. মনসুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক মোহা. রশীদুল আলম, সিকৃবির প্রফেসর ড. এম. শফিউল্লাহ ভূঁইয়া, সিলেট চেম্বারের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ছেদু, সদস্য সানজিদা খানম, মাহদি সালেহীন, সোনালী ব্যাংকের জিএম সজল কুমার দাস, লংকাবাংলার সিনিয়র এজিএম মোহাম্মদ শামছুদ্দিন, আইসিবি’র ডিজিএম মেহমুদ হাসান মুরাদ, সিলেট চেম্বারের সচিব গোলাম আক্তার ফারুক, ব্রোকার হাউজ মালিকবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।